প্রত্যেকের শরীর কেমন থাকবে তা অনেকাংশে নির্ভর করে মন ও মানসিকতার ওপর। মানুষের চিন্তা ও আবেগ স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে। মন ভালো থাকলে যেমন শরীরের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে তেমনি হতাশা, দুঃশ্চিন্তা শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। আবেগ কীভাবে আমাদর শরীরের ক্ষতি করে চলুন জেনে নেওয়া যাক। আবেগ যেভাবে আমাদের শরীরের ক্ষতি করে: অনেক সময় কোন বিষয় নিয়ে আমাদের রাগ হয়, আমরা হতাশ বোধ করি, কখনোবা ভয় হয়, এই ভয় থেকে দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ তৈরি হয়।

যা পরবর্তীতে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে। রাগ: অনেকেই আছেন খুব সহজে রেগে যান আবার অনেকে রেগে গেলে কোন কিছু হুশ থাকে না। রাগ যাদের অনেক বেশি বা সহজে রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না তাদের লিভারের ক্ষতি হওয়ার আশঙকা থাকে বলে বলছেন চিকিৎসকরা। অতিরিক্ত রেগে গেলে শরীরে অ্যাড্রিনালিন হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়।

এ থেকে আলসার বা বদহজমের মত সমস্যা দেখা দেয়। এজন্য অতিরিক্ত রাগের কারণে লিভারের ক্ষতি হতে পারে। হতাশা: মানুষ যখন কোন বিষয় নিয়ে আর ইতিবাচক দিক খুঁজে পায় না তখন সে হতাশ হয়ে যায়। আর দীর্ঘদিনের জমে থাকা হতাশা ফুসফুসের ক্ষতি করে বলে বলছেন চিকিৎসকরা। দীর্ঘদিন মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকলে ফুসফুসের ক্ষতি হয়। দুশ্চিন্তা: মানসিক দুশ্চিন্তায় আপনি আপনার শরীরের ক্ষতি করছেন না তো? দীর্ঘদিন যদি দুশ্চিন্তা করতে থাকেন তাহলে পাকস্থলির ক্ষতি হতে পারে বলে বলছেন চিকিৎসকরা। পাকস্থলির ক্ষতি থেকে পরে ক্যান্সার হতে পারে। শতকরা ৯০ ভাগ পাকস্থলির ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ে না। এজন্য চেষ্টা করুন চিন্তা মুক্ত থাকতে।

মানসিক চাপ: অতিরিক্ত চিন্তা ও মস্তিষ্কের গভীরে একটি অংশে অনবরত স্নায়বিক চাপের কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। হৃদরোগের জন্য ধূমপান যতটা ক্ষতিকর ঠিক মানসিক চাপ ততটাই ক্ষতিকর। মানসিক চাপ রক্তনালি এবং মস্তিষ্কের যে অংশে রাগ, ক্ষোভ, ভয় কাজ করে সেখানে চাপ সৃষ্টি করে ফলে মস্তিষ্কেরও ক্ষতি হয়। ভয়: অতিরিক্ত ভয় পেলে যে কিডনির ক্ষতি হতে পারে এই বিষয় অনেকের অজানা। কিন্তু এমনটাই বলছেন চিকিৎসকরা। অনেক সময় অতিরিক্ত ভয় পেলে শরীরে রক্তচাপ বৃদ্ধি পায় এবং এ থেকে কিডনির ক্ষতি হতে পারে।

আবার সব সময় মনের মধ্যে ভয় কাজ করলে রাতে ঘুম আসতে চায় না। সেক্ষেত্রেও ঘুম কম হলে কিডনির ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এজন্য সবসময় হাসি-খুশি ও আনন্দে থাকার চেষ্টা করার কথা বলেছেন চিকিৎসকরা।